কিমচি, এটা ফার্মেন্টেড সবজি। কোরিয়ান পৌরাণিক পদ্ধতি অবলম্বনে কতিপয় মসলা সহযোগে সবজি ফার্মেন্ট করা হয়। ফার্মেন্টেশনের কারণে সবজিতে সৃষ্টি হয় ন্যাচারাল ভিনেগার, এনজাইম, লেক্টিক অ্যাসিড ব্যাকটেরিয়া, ভিটামিন ডি, ই, কে, বিটা ক্যারোটিন ও পর্যাপ্ত পরিমানে এন্টি অক্সিডেন্ট। ফলে রক্তের সুগার, কোলেষ্টেরল, টক্সিন পরিশোধনে শক্তিমান ভূমিকা রেখে মানবদেহে বহুমুখী উপকার সাধন করে এই কিমচি। কিমচি তৈরিতে রান্নার দরকার হয় না, এতে কোনরূপ তেলের ব্যবহারও নেই। কিমচি প্যাকেট খুলে এখনি খাবার উপযোগী, অর্থাৎ রেডি খাবার। কিমচি দেখতে লাল টকটকে হয়, দেখে মনে হয় অনেক ঝাল। আসলে তা নয়। কিমচি তৈরিতে মরিচের ব্যবহার মোটেই হয় না। এতে ব্যবহৃত হয় কোরিয়ান গোচুগাড়ু, গচুজ্যাং ও পাপরিকা পাউডার। এগুলো খুব রক্তাক্ত লাল, তবে কম কম ঝাল। কিমচিতে ন্যাচারাল ভিনেগার জন্মায়, তাই স্বাদ হয় টক টক ও ঝাল ঝাল। কিমচি খালি খাওয়া যায়, সেদ্ধ ডিম ও টোফুর সাথে খায়, সালাদ ও সুপ তৈরিতে ব্যবহার হয়, মাছ মাংস খিচুড়ি রান্নায় ব্যবহার করা হলে দারুন সুস্বাদু হয়। কিমচি নরমাল ফ্রিজে রেখে দিলেই তিন মাস ভালো থাকে। আমাদের নিকট ৭ প্রকারের কিমচি পাওয়া যায়। প্রথমে ছোট্ট টেষ্ট-প্যাক নিতে পারেন, পরখ করে দেখতে পারেন কোন কিমচি কেমন স্বাদ। মেটাল অথবা পানির সংস্পর্শ কিমচির জন্য ক্ষতিকর। নরমাল ফ্রিজে রেখে দিলেই তিন মাস ভালো থাকে কিমচি।