দুটো মাত্র রুটি খাচ্ছেন মানেই শরীর পেয়ে যাচ্ছে দিনের প্রয়োজনীয় পুষ্টির বড় অংশটা, প্রোটো রুটির উপকরণ সেভাবেই সন্নিবেশিত হয়েছে। এতে হৌল হুইট ব্রাউন আটার সাথে থাকছে সয়ামিল্ক, আলমন্ড মিল্ক, সাদা তিল, মাশকলাই, মিলেট রাইস, পালং শাক, শাচি শাক, কলমী শাক, সবুজ নাপা ক্যাবেজ, ধনে পাতা, পুদিনা পাতা, স্পিরুলিনা, এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল ও হিমালয় পিংক সল্ট। ফলে এটা হাই প্রোটিন লৌ-কার্ব প্রোটো রুটি। ডায়েটারি ফাইবারে ভরপুর প্রোটো রুটি সহজেই হজম হয়, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়, তাই ডায়েটী ডায়াবেটিস ও সচেতন মানুষের মন করেছে জয়। প্রতি কেজিতে ১২-১৪ টা রুটি হয়। প্রতি কেজি ৩৬০/- এটা এখনি খাবার উপযোগী রেডি রুটি। প্রোটো রুটি ডিপ ফ্রিজে ৪৫ দিন ভালো থাকবে। খাবার আগে একটু পানি ছিটিয়ে ঢাকনি দিয়ে ঢেকে হালকা আঁচে শেকে নিতে হবে কিছুক্ষণ। হামাস, কেফির ড্রিংক, কিমচি, মাখন, ডাল বা সবজি সহযোগে প্রটো রুটি খেতে অসাধারণ। রুটি আমরা নিয়মিত খাই, রুটিতেই যদি পুষ্টি পাই, তাহলে তো আর চিন্তাই নাই।
সাওরক্রাওতের জন্মটা চায়নায়, আড়াই হাজার বছরেরও আগে, তবে বেড়ে উঠেছে জার্মানীতে। চায়নার গ্রেট ওয়াল তৈরীর লগ্নে হঠাৎ করেই মহামারী দেখা দেয়, সহসাই জরজারী ধরণের রোগে দুর্বল কৃষ্ণকায় হয়ে না ফেরার দেশে পৌছে যায় বহু শ্রমিক, স্থবির হয়ে পড়ে গ্রেট ওয়ালের কাজ। এমতাবস্থায় তৎকালীন শাসকের নির্দেশে একত্রিত হন দেশের বরেণ্য বিশেষজ্ঞ হেকিমেরা। দ্বীর্ঘ সাড়ে তিন বছরের একচ্ছত্র সাধনায় আবিষ্কার লাভ করে ভেষজ পথ্য সাওরক্রাওত। অতি সাধারণ জিনিস, ফার্মেন্টেড ক্যাবেজ, এতেই ভর করে মানব জীবনে পৌছায় প্রকৃতির আশির্বাদ। হেরে যায় মহামারী, শীঘ্রই সুস্থ-সবল হয়ে কর্মচঞ্চল মানুষ। এ খবর জেনে যায় জার্মানী, দুর্যোগ দুর্দশায় সাওরক্রাওতের সফল ব্যবহারের ইতিহাস তৈরী করে সেনাদল। সাওরক্রাওত তৈরীতে ব্যবহার হয় তাজা ক্যাবেজ, গার্লিক-জিঞ্জার পেষ্ট, কাঁচা হলুদ, লাল সরিষা, ক্যাপসিকাম, সবুজ পেয়াজ পাতা ও খনিজ লবন, সংযুক্ত হয় প্রশিক্ষিত লোকবল, যেতে হয় সুচিন্তিত ফার্মেন্টেশন প্রোসেসের ভেতর দিয়ে। সাওরক্রাওত মোটেই কোনো ওষুধ নয়, তবে সবজীর আশির্বাদ আপনাকে ফিরিয়ে নেয় শান্তির শিবিরে, জীবন থেকে দূর ক্রান্তি ও ওষুধের প্রয়োজনীয়তা।
আপনি মসলা বিহীন কিমচি চাইলে এই জার্মান রেসিপি সাওরক্রাট আপনার জন্য যথার্থ।
নাপা ক্যাবেজ কিমচি। এবসোল্যুট নাপা ক্যাবেজ কিমচি নামেও এটা পরিচিত। এখানে প্রধানতঃ চাইনিজ নাপা ক্যাবেজ এর ডাটি বা সাদা অংশগুলোই ব্যবহৃত হয়। ফ্যাক্টরীতে ডীপ টিউবয়েল বসিয়ে নিইয়েছি, তাই ক্যাবেজ কেটেসেটে এরপর ধোয়ার জন্য আগাগোড়াই ব্যবহার করতে পারছি ডীপ টিউবয়েলের বিশুদ্ধ পানি। সবজি ফার্মেন্টেশনে ব্যবহার করছি রসুন ও আদা, হিমালয় পিংক সল্ট, সয়া সস, গোচুগারু (গোচুজ্যাং), পাপরিকা পাঊডার, আতপ চালের গুড়া, চিনি, তিলের সাদা অংশ। কোনো জীবাস্ম ব্যবহার হয় না, শতভাগ হালাল রাখার প্রক্রিয়া অনুসারিত হয়। কিমচিতে চিনির ব্যবহার কোনো সমস্যা নয়, কারণ ফার্মেন্টেশন প্রক্রিয়ায় চিনি ভেঙ্গেই ল্যাক্টোবাসিল তৈরী হয়, এরপর সেটাই আবার সুগারের বিরুদ্ধে লেগেপড়ে আত্মনিয়োগ করে। যেভাবে লোহা দিয়ে লোহা কাটার প্রচলন বিশ্বময়, কেটো ডায়েটে যেভাবে ফ্যাট দূরীকরণে ফ্যাট খাবার জনপ্রিয় হয়। কিমচি বানিয়ে আমরা সাধারণতঃ ৪৮ ঘন্টার বেশি ঘরে রাখি না, ডেলিভারী করে দেই তাজা কিমচি। কারণ অধিকাংশ ক্রেতা তাজা কিমচিই পছন্দ করেন। যারা তাজা কিমচি পছন্দ করেন তারা খেতে শুরু করতে পারেন জারটি হাতে পাবার পর থেকেই। তবে ডীপ ফার্মেন্টেড কিমচি চাইলে জারটি হাতে পাবার পর সেটি ৫টা দিন ফ্রিজের বাইরে নরমাল টেম্পারেচারেই রেখে দিন। এতে ফার্মেন্টেশন ডীপ হবে, মিষ্টিভাব্টা কমে যাবে, স্বাদ ও উপকারিতা পাবেন সর্বোচ্চমাত্রায়। কিমচি মানেই বিশ্বমানের প্রোবায়োটিক খাদ্য। সুস্থতার জন্য প্রোবায়োটিক খাদ্য যে কতটা জরুরী আজকের দুনিয়ায় সচেতন মানুষ সবাই জানেন। প্রোবায়োটিক খাদ্য পেটে গিয়ে সুরক্ষা বলয় গড়ে দেয়, পাচনপ্রক্রিয়া নির্ভেজাল সুশৃংখল রেখে শক্তিমান করে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা। ফার্মেন্টেশন প্রকৃয়ায় সবজির সুগার ভেঙ্গে যায়, তৈরী হয় ল্যাকটোসাসিল, ন্যাচারাল ভিনেগার, এনজাইম, এন্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন ডি ও কে। এনজাইম তৈরী হয় বলেই কিমচি পাচন প্রকৃয়া সহজ করে, শরীরের সর্বাঙ্গে খাদ্যের নিউট্রিশন পৌছানো করে নির্বিঘ্ন। জাপান ও কোরিয়ায় তেলে ভেজানো আচার কখনোই খায় না। ওরা প্রতি বেলায় কিমচি খায়। উন্নত বিশ্বের সচেতন মানুষ মাত্রই বিশ্বাস করে, কিমচি ব্লাড প্রেশার ও সুগার নিয়ন্ত্রন করে। ওদেরকে ওভাবে দ্বীর্ঘজীবি ও প্রানচঞ্চল থাকতে নিরন্তর কাজ করে চলেছে কিমচি। কিমচি তৈরীতে রান্নার দরকার হয় না, তেল ব্যবহারের অবশ্যকাতাও নেই। কিমচিতে ল্যাকটোব্যাসিল ও ন্যাচারাল ভিনেগার জন্মায় বলেই স্বাদটা হয় আচারের মত টক। গচুগারু ব্যবহার হয় বলে দেখতে হয় টকটকে লাল। তবে কিমচি মোটেই সেভাবে ঝাল খাবার নয়। কিমচি মোটেই কোনো ওষুধ নয়, তাই খাবারের ক্ষেত্রে কোনো বাধাধরা নিয়মও নেই। খেতে পারেন নিজের ইচ্ছা অভিরুচি মোতাবেক। কিমচি কোনোভাবে পেটে গেলেই হলো, শরীরে সবজীর আশীর্বাদ পৌছে দিবে, ধীরে হলেও জীবন থেকে দূর করে দিবে ওষুধের প্রয়োজনীয়তা। কিমচি নরমাল ফ্রিজে রেখে দিলেই ভালো থাকে চার মাস।
কিমচি মানেই ফার্মেন্টেড সবজি। মিক্সড ভেজিটেবল কিমচির প্রধান উপকরণ চায়নিজ নাপা ক্যাবেজের সবুজ পাতাগুলো, সাথে যুক্ত হয় কচি শশা, মুলা, বীটস, গাজর, ক্যাপসিকাম, সবুজ পেয়াজ। সবজীগুলো কেটে ধুয়ে পরিষ্কার করা হয় গভীর নলকুপের পানিতে, ফার্মেন্ট করা হয় ৭২ ঘন্টা। কিমচি তৈরীতে ব্যবহার হয় আদা-রসুনের পেষ্ট, গচুগারু ও আতপ চালের কাই। ফার্মেন্টেশন প্রকৃয়ার প্রয়োজনে কিমচিতে কিছুটা সুগার ব্যবহার হয়, তবে ফার্মেন্টেশন প্রকৃয়ায় সুগার ভেঙ্গে তৈরী হয় ল্যাকটোসাসিল, ন্যাচারাল ভিনেগার, এনজাইম, এন্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন ডি ও কে। জাপান, কোরিয়ায় তেলে ভেজা আচার খায় না, তবে প্রতি বেলায় কিমচি খায়। ওরা বিশ্বাস করে ব্লাড প্রেশার ও সুগার নিয়ন্ত্রন করে দ্বীর্ঘজীবি ও প্রানচঞ্চল থাকতে নিরন্তর কাজ করে চলেছে কিমচি। কিমচিতে তেল, টক ও রান্নার ব্যবহার নেই। কিমচিতে ল্যাকটোব্যাসিল ও ন্যাচারাল ভিনেগার জন্মায় বলেই খেতে টক হয়। গচুগারুর কারণে দেখতে টকটকে লাল হলেও কিমচি খুব ঝাল নয়। প্রচুর এনজাইম তৈরী হয় বলে কিমচি পাচন প্রকৃয়া সহজ করে, শরীরে খাদ্যের নিউট্রিশন পৌছানো নির্বিঘ্ন করে। কিমচি মোটেই ওষুধ নয়, তবে কিমচি শরীরে সবজীর আশীর্বাদ পৌছে দেয়, ফলে অনেক ক্ষেত্রেই দূর হয় ওষুধের প্রয়োজনীয়তা। সালাদ ও বিভিন্ন খাবার দাবাড়ের সাথে কিমচি বিশেষ স্বাদের যোগান দেয়। নরমাল ফ্রিজে রেখে দিলেই কিমচি ভালো থাকে তিন মাস।
টোফু। অপর নাম সয়া পণির। দুধ থেকে যেভাবে ছানা কাটা হয়, একইভাবে সয়া দুধ থেকে ছানা করা হয়, এটাই হচ্ছে টোফু। প্লান্ট বেইজড প্রোটিন ছাড়াও আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম ও ক্যালসিয়ামের শক্তিমান উৎস এই টোফু। প্রকৃতির নয় প্রকারের অ্যামাইনো, সবগুলোই পাওয়া যায় টোফুতে। অত্যন্ত সহজপাচ্য হওয়াতে শরীর নিউটিশন পায় খুব সহজেই। শারীরিক দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে টোফুর কাজ অনন্য, আর তাই মহামারী দেখা দিলেই টোফুর কদর অভাবনীয়ভাবেই বেড়ে যায়। একটু আদা রসুনের পেস্ট ও একটু সয়া সসে ঘন্টাখানেক মেরিনেট করে নিন, এরপর হালকা আঁচে ভেজে নিন, সোনালী বর্ণের ফ্রাইড টোফু উপস্থিত হবে আপনার সামনে। এছাড়াও বিশ্বমানের স্যুপ ও বহুবিদ রান্নায় টোফুর ব্যবহার হয় বিশ্বময়। সকালে ও বিকালের নাস্তায় টোফু শরীর ও মনে ডায়নাস্টিক ফীল পৌঁছে দেয়। লবণ পানিতে ভিজিয়ে নরমাল ফ্রীজে রেখে দিলে ৪০ দিন ভালো থাকে টোফু।
যারাই শরীরের এলডিএল কোলেস্টরেল দমিয়ে রেখে শারীরিক শক্তিমান ও মানসিক ফুরফুরে থাকতে চান, তারা নিয়মিত আমন্ড বাটার খান। ডায়টারী ফাইবার, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন ও ভিটামিন ই ও বি৬ এর জোড়ালো সরবরাহক আমন্ড বাটার, আর তাই স্পোর্টসম্যানদের খাদ্য তালিকায় সর্বোচ্চে এর অবস্থান। আমাদের তৈরী আমন্ড বাটার সুগার ফ্রি, এটা তৈরিতে আমরা ব্যবহার করছি এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল, আর তাই যুক্ত হচ্ছে ওমেগা থ্রি, ওমেগা সিক্স, ও ভিটামিন কে। সেদ্ধ ডিম ও ভাপানো সবজির উপরে ঢেলে দিন কিছুটা আমন্ড বাটার, স্বাদে অনন্যতার সৃষ্টি করবে। এটা আপনার খাবার নিয়ন্ত্রণ করবে কারণ ক্ষিদের ভাব থেকেও মুক্ত রাখবে ঘন্টা চারেক।
আপনি ঘরে বসে উন্নত মানের ক্যাফির বানাতে চাইলে আপনার দরকার হবে ক্যাফির বীজ। এটা হোম মেইড ক্যাফির বীজ। আমেরিকার তৈরি স্টার্টার কালচার ব্যবহার করে তৈরি হয়েছে এটা। গ্রেইন থাকবে এর ভেতর, ঘনত্ব দেখাবে দুধ ও দইয়ের মাঝামাঝি। পেইজে ভিডিও দেয়া আছে, দেখে নিবেন। বীজ দিয়ে ক্যাফির তৈরীর কাজটা বেশ সহজ। ক্যাফির হয় বিশ্ব মানের। তবে এটা ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রেড ক্যাফির গ্রেইন নয়, এটা সরাসরি খাবার জন্যও নয়। ২০০ গ্রাম ক্যাফির বীজ দিয়ে ৪ লিটার ক্যাফির করা যাবে। এক লিটার করে চারবারে অথবা চার লিটার একবারেও করতে পারবেন।
ক্যাফির। এটা ফার্মেন্টেড প্রোবায়োটিক মিল্ক। স্বাদে অনেকটাই গ্রিক ইয়োগার্টের মত, কিছুটা ট্যাঞ্জি ও হালকা। ক্যাফির গাটের স্বাস্থ্য রক্ষায় বিশ্বব্যাপী বিশ্বস্ত। ইন্টারনেটে health benefit of kefir লিখে সার্চ দিলেই বিস্তারিত তথ্য জানা যায়। আমাদের কাছে ক্যাফির বীজ ও খাবার উপযোগী রেডি ক্যাফির – দুটোই পাবেন।
খাঁটি গরুর দুধ দিয়েই ক্যাফির সবচেয়ে ভালো হবে। পাস্তরাইজড দুধেও কেফির করা সহজ হয় না। একটি পরিষ্কার কাঁচের পাত্র প্রস্তুত রাখুন। দুধ মাত্র একবার ফুটিয়ে নিন, এরপর ততটা ঠান্ডা হতে দিন যেমনটা শিশুকে খাওয়ানো যায়। এরপর ওতে মিশিয়ে দিন ক্যাফির বীজ। প্রতি লিটার দুধের জন্য ৫০ গ্রাম করে বীজ ঢেলে দিন, এরপর চামচ দিয়ে নেড়ে ভালোভাবে মিশিয়ে দিন। এবার কাঁচের জারে ঢেলে দিন ওই দুধ। পাত্রের মুখটা কাপড় দিয়ে বেধে দিন যাতে ওর মধ্যে উৎপন্ন গ্যাসটা বেরিয়ে যেতে পারে। পাত্রটি কিছু কাথা কম্বল দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে, যেন ৩০-৪০ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায় থাকতে পারে পাত্রটি। এভাবে ১৪ ঘণ্টা রেখে দিন। এবার পাত্রটির মুখ খুলে আপনি যেটা দেখতে পাবেন সেটাই ক্যাফির। তবে এরপর পাত্রটি আরো ৬ ঘন্টা নরমাল ফ্রীজে রেখে দিলে অনেক উন্নত হবে ক্যাফিরের মান। কেফির বীজ নরমাল ফ্রিজে রেখে দিলে ২৫ দিন পর্যন্ত ব্যবহার যোগ্য থাকবে।
আপনার বানানো ক্যাফির দিয়ে আর ক্যাফির হবে না, তবে উন্নত মানের টক দই বা মিষ্টি দই হবে।
কিমচি মানেই ফার্মেন্টেড সবজি। বকচয় হচ্ছে বিশেষ ধরণের ফাইটো নিউট্রিয়েন্টস রিচ লীফি সবজি, ফলে শারীরিক প্রশান্তি আনয়নে উন্নত বিশ্বে বকচয় সবজিটা বহুল জনপ্রিয়। এটা এন্টি-অক্সিডেন্টস এর শক্তিমান সৌর্স, পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, প্রোটিন, আয়রন ও ভিটামিন সি এ পরিপূর্ণ। সবুজ তাজা বকচয় কেটে ধুয়ে পরিষ্কার করা হয় গভীর নলকুপের পানিতে, এরপর মসলা সহযোগে ফার্মেন্ট করা হয় ৭২ ঘন্টা। কিমচি তৈরীতে তেলের ব্যবহার নেই, রান্নারও দরকার হয় না। কিমচিতে ব্যবহার করা হয় আদা-রসুনের পেষ্ট, ক্যাপসিকাম, সবুজ পেয়াজ পাতা, গচুগারু ও আতপ চালের কাই। কিমচিতে তেল, টক ও রান্নার ব্যবহার নেই। ফার্মেন্টেশন প্রকৃয়ার প্রয়োজনে কিমচিতে কিছুটা সুগার ব্যবহার হয়, তবে ফার্মেন্টেশন প্রকৃয়ায় সুগার ভেঙ্গে যায়, সেখানে তৈরী হয় ল্যাকটোসাসিল, ন্যাচারাল ভিনেগার, এনজাইম, এন্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন ডি ও কে। জাপান, কোরিয়ায় তেলে ভেজা আচার খায় না, তবে ওরা প্রতি বেলায় কিমচি খায়। ওদের বিশ্বাস, ব্লাড প্রেশার ও সুগার নিয়ন্ত্রন করে দ্বীর্ঘজীবি ও প্রানচঞ্চল থাকতে নিরন্তর কাজ করে চলেছে কিমচি। কিমচিতে ল্যাকটোব্যাসিল ও ন্যাচারাল ভিনেগার জন্মায় বলেই খেতে টক হয়। গচুগারুর কারণে কিমচি দেখতে টকটকে লাল হলেও কিমচি খুব ঝাল নয়। প্রচুর এনজাইম তৈরী হয় বলে কিমচি পাচন প্রকৃয়া সহজ করে, শরীরে খাদ্যের নিউট্রিশন পৌছানো নির্বিঘ্ন করে। কিমচি মোটেই ওষুধ নয়, তবে কিমচি শরীরে সবজীর আশীর্বাদ পৌছে দেয়, ফলে ওষুধের প্রয়োজনীয়তা। সালাদ ও বিভিন্ন খাবার দাবাড়ের সাথে কিমচি বিশেষ স্বাদের যোগান দেয়। নরমাল ফ্রিজে রেখে দিলেই কিমচি ভালো থাকে তিন মাস।
বহুমূখী কাজের কাজী এই কিমচি মাসালা পেষ্ট। আপনি ঘরে বসে কিমচি তৈরি করুন, সালাদ করুন, টোফু মেরিনেট করুন বা রান্না করুন নানারকম মুখরোচক স্যুপ, কিমচি মাসালা আপনাকে সহজেই সফল করে তুলবে। কিমচি মাসালায় থাকছে গচুগারু, পাপারিকা পাউডার, আদা-রসুনের পেষ্ট, সাদা তিল, সয়া-সস (চাইলে ফিশ সস), চালের কাই, সাথে থাকে ফার্মেন্টেড কিমচি রস। তাই তো স্বাদটা হয় টক টক ঝাল ঝাল খুবই মজার। কাঁচা সবজি কেটে ছেটে পরিষ্কার করে কিমচি মসলায় মাখিয়ে নিলে আপনি পাচ্ছেন উন্নত মানের সালাদ। পদ্ধতি মেনে ওটাই কিছুদিন রেখে দিলে পাচ্ছেন বিশ্বমানের কিমচি। আবার সাইজ করে টোফু কেটে নিন, মাসালা পেষ্ট এ ভিজিয়ে রাখুন চল্লিশ মিনিট, হয়ে গেল মেরিনেশন। এরপর ভেজে নিলেই পাচ্ছেন সোনালী বর্ণের ফ্রাইড টোফু। কিমচি মাসালা পেষ্ট বেশ ঘন আর গচুগারু থাকে বলে টকটকে লাল দেখায়। হরেক রকম স্যুপ ও কন্টিনেন্টাল রান্নায় এর ব্যবহার যোগান দেবে মনে রাখার মতো আস্বাদন।
তাহিনি কি!
তাহিনি তৈরির প্রধান উপকরণ তিল ও তিশি চুর্ণর সঙ্গে আলমন্ড বাটার ও এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল, সাথে প্রসেসিং এর ব্যাপক কর্মযজ্ঞ। কেউ বলে ইরানে কেউ বলে তিউনিশিয়াতে জন্ম এই তাহিনির। তবে এর বহুমুখী উপকারের কারণে অনেক ভালোবাসার মধ্যে বেড়ে উঠেছে আমেরিকায় ইউরোপে মিডিলইস্টে ও স্বাস্থ্যসচেতন মানুষের ভালোবাসায়। তাহিনি শরীরে বয়ে আনে পর্যাপ্ত প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, ওমেগা থ্রী ফ্যাটি এসিড ও আয়রন সাইলো ফোলেট। ফলে তাহিনি রীতিমত ক্রেজ হয়ে দাঁড়িয়েছে হলিউড-বলিউড ও বিশ্বময় মিডিয়াপাড়ার তারুণ্য লালনকারীদের সমাজে।
৪৫ দিনের মধ্যে খেয়ে নিলে তাহিনি ফ্রিজে রাখা জরুরী নয়। তবে নরমাল ফ্রিজে রেখে দিলেই ভালো থাকে চার মাস। প্রধানত তিল ও আলমন্ড বাটার থাকছে বলে তাহিনি বেশ মজাদার। সকালের নাস্তায় তাহিনির উপস্থিতি থাকলে কোষ্ঠকাঠিন্যর সুযোগ নেই সারাদিনেও। এটা সেদ্ধ ডিম, রুটি, বিস্কুট, বার্গারের সাথে খায়, এর ব্যাপক ব্যবহার হয় কাঁচা সবজি ও সালাদের সাথে। মাত্র ১৫ দিন নিয়মিত খেলেই বেশ বদলে যাবেন আপনি, আর হয়ত বলবেন – ওষুধ বা সাপ্লিমেন্টে নয়, প্রকৃতিতেই রয়েছে সুস্থতা ও সৌন্দর্যের অব্যার্থ আশীর্বাদ।
এতদিন যে সবজি দেখে পালিয়ে যেতো ধেয়ে
এবার সে-ই মনের সুখে সবজি খাবে চেয়ে
সয়া দুধ। এটা মোটেই কেবল শখের খাবার নয়, ছেলে-বুড়ো সকলকে দুধ দৈনিক খেতে হয়। সুস্থ-সবল থাকতেই হয়, সুসম খাদ্যের কথা ভাবতেই হয়, তখন এন্টেনায় প্রথম যেটা ধরা দেয় সেটাই দুধ। সেই দুধে যখন হয় না রক্ষে, দুধ যদি চলে যায় স্বাস্থ্যের বিপক্ষে, তখন!
দুর্ভাগ্য নয়, চিন্তার কারনও নয়, নেই কোনোমাত্র ভয়,
দুধের বিকল্প সয়া দুধ – প্রকৃতিতেই হয়।
সয়া দুধ। বিশ্বের সচেতন মানুষ সুস্থতার পথে অটুট থাকতে দুধের বিকল্প যথার্থই নির্বাচন করেছে, বেছে নিয়েছে সয়া দুধ। সয়া দুধে পুষ্টিগুন দুধের চেয়ে অনেক বেশি, অথচ ল্যাকটোজ নেই বলে হজমে কোনো যন্ত্রনা নেই। সয়া দুধ এতটাই সহজপাচ্য যে, পুষ্টির পুরোটাই পাবেন, তবে দুধ খাবার যে অশান্তি সেটা বেমালুম ভুলে যাবেন।
আমরা সিজনাল উৎকৃষ্ট সয়াবিন বীজ সংগ্রহ করি, এরপর মেশিনে দুধ তৈরী করি। তখন এ কথাও মাথায় রাখি যে, সুশিক্ষিত সচেতন মানুষ নিয়মিত দুধ খাবেন, স্বাদের সাথে হাইজেনিটির নিশ্চয়তাও পাবে্ন।
সয়া দুধ এতটাই ক্রিমী আর স্বাদটাও এতটাই অনন্য যে, দুধ খাওয়ার সেই যে সোনালী অতীত সেটাই ফিরে আসবে। সয়া দুধে পর্যাপ্ত প্রোটিন থাকে, সাথে থাকে যথেষ্ট মিনারেলস, তথা আয়রন, ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম আর বয়ষ্কদের জন্য অতীব প্রয়োজনীয় ম্যাগনেশিয়াম। সয়া দুধ কোলেষ্টেরল ফ্রী। সয়া দুধ মাত্র ৫৪ ক্যালরী, তাই ডায়েটি ডায়াবেটিক ও সচেতন মানুষ সমভাবে পছন্দ করেন। এনিম্যাল ফ্যাট ছেড়ে দিয়ে প্লান্ট বেইজড সয়া দুধে ফিরে যান, উৎসব ঈদে সয়া দুধে জর্দা সেমাই খান। সয়া দুধ ঘন করে জ্বাল করাই থাকে, খাবার আগে হালকা একটু গরম করে নিবেন, ডিপ ফ্রিজে রেখে দিলে একমাস ভালো পাবেন।
সয়া দুধ, মজাদার প্লান্ট বেইজড দুধ, ছোট-বড় সবার জন্য।
সয়া দুধ, স্বাস্থ্যকর, খেতেও অনন্য।
সয়া দুধ। এটা মোটেই কেবল শখের খাবার নয়, ছেলে-বুড়ো সকলকে দুধ দৈনিক খেতে হয়। সুস্থ-সবল থাকতেই হয়, সুসম খাদ্যের কথা ভাবতেই হয়, তখন এন্টেনায় প্রথম যেটা ধরা দেয় সেটাই দুধ। সেই দুধে যখন হয় না রক্ষে, দুধ যদি চলে যায় স্বাস্থ্যের বিপক্ষে, তখন!
দুর্ভাগ্য নয়, চিন্তার কারনও নয়, নেই কোনোমাত্র ভয়,
দুধের বিকল্প সয়া দুধ – প্রকৃতিতেই হয়।
সয়া দুধ। বিশ্বের সচেতন মানুষ সুস্থতার পথে অটুট থাকতে দুধের বিকল্প যথার্থই নির্বাচন করেছে, বেছে নিয়েছে সয়া দুধ। সয়া দুধে পুষ্টিগুন দুধের চেয়ে অনেক বেশি, অথচ ল্যাকটোজ নেই বলে হজমে কোনো যন্ত্রনা নেই। সয়া দুধ এতটাই সহজপাচ্য যে, পুষ্টির পুরোটাই পাবেন, তবে দুধ খাবার যে অশান্তি সেটা বেমালুম ভুলে যাবেন।
আমরা সিজনাল উৎকৃষ্ট সয়াবিন বীজ সংগ্রহ করি, এরপর মেশিনে দুধ তৈরী করি। তখন এ কথাও মাথায় রাখি যে, সুশিক্ষিত সচেতন মানুষ নিয়মিত দুধ খাবেন, স্বাদের সাথে হাইজেনিটির নিশ্চয়তাও পাবে্ন।
সয়া দুধ এতটাই ক্রিমী আর স্বাদটাও এতটাই অনন্য যে, দুধ খাওয়ার সেই যে সোনালী অতীত সেটাই ফিরে আসবে। সয়া দুধে পর্যাপ্ত প্রোটিন থাকে, সাথে থাকে যথেষ্ট মিনারেলস, তথা আয়রন, ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম আর বয়ষ্কদের জন্য অতীব প্রয়োজনীয় ম্যাগনেশিয়াম। সয়া দুধ কোলেষ্টেরল ফ্রী। সয়া দুধ মাত্র ৫৪ ক্যালরী, তাই ডায়েটি ডায়াবেটিক ও সচেতন মানুষ সমভাবে পছন্দ করেন। এনিম্যাল ফ্যাট ছেড়ে দিয়ে প্লান্ট বেইজড সয়া দুধে ফিরে যান, উৎসব ঈদে সয়া দুধে জর্দা সেমাই খান। সয়া দুধ ঘন করে জ্বাল করাই থাকে, খাবার আগে হালকা একটু গরম করে নিবেন, ডিপ ফ্রিজে রেখে দিলে একমাস ভালো পাবেন।
সয়া দুধ, মজাদার প্লান্ট বেইজড দুধ, ছোট-বড় সবার জন্য।
সয়া দুধ, স্বাস্থ্যকর, খেতেও অনন্য।
তার্কিশ ‘কেইয়িফ’ শব্দটা থেকেই ইউরোপ ও আমেরিকায় এর নাম হয়েছে কেফির। কেইয়িফ শব্দের অর্থ গুড ফিলিং। বুঝতেই পারছেন, কেফির আপনাকে দারুনভাবে ভালো রাখবে। কেফির খেয়ে আপনি সুস্থ বোধ করবেন শরীর ও মনে। মিডিলিস্টেও কেফির ব্যাপক জনপ্রিয়, ওখানে ওরা বলে খিফাইর।
কেফির মানেই কালচার্ড ডেইরি মিল্ক, এটা ফার্মেন্টেড দুধ। কেফিরের উপকারিতা সম্পর্কে একটু সার্চ দিয়ে দেখলেই এর প্রেমে পড়ে যাবেন আপনি। কারণ গাটের সুস্থতা রক্ষায় কেফির বিশ্বময় বিশ্বস্ত। কেফির কোনো ওষুধ নয়, তবে এটা যেমন মজার তেমনি উচ্চ মাত্রার প্রোটিন যুক্ত প্রোবায়োটিকস। ক্যাফির ভিটামিনে ভরপুর ডেইরী ড্রিংক। সকালে এক গ্লাস কেফির ড্রিংক খেলেন মানেই শরীরে পৌঁছে গেল Vitamin A, D, B1, B2, B6, B12, C, D, H Biotin, K, ক্যালসিয়াম, এসেনশিয়াল মিনারেলস ও অ্যামাইনো এসিড। বুঝতেই পারছেন, অনেক পুরনো সমস্যা, যেগুলোতে ওষুধ বারংবার ব্যর্থ হয়েছে, কেফির সেখানেও দেখিয়েছে জাদুকরী সাফল্য। কেফিরে থাকে গাটের সুস্থতা রক্ষার অতন্ত্র প্রহরী ল্যাকটিক এসিড ব্যাকটেরিয়া। ব্লাড সুগার, প্রেসার ও ওজন নিয়ন্ত্রনে মজার এই দুগ্ধজাত পানিও অভিভূত করে দিয়েছে দুনিয়া জুড়ে সর্বত্র।
কেফির ঘনত্বে দইয়ের চেয়ে একটু হালকা হয়, একটু বিজোলি হয়, হালকা টক টক হয়, তাই খেতেও হয় যথেষ্ট সুস্বাদু। কথিত আছে, টক দই যে উদ্দেশ্যে নিয়ে খাওয়া হয় সে কাজটাই সফলতার সাথে সম্পন্ন করে দিতে পারে কেফির। কারণ কেফির টক দই অপেক্ষা ৩৬ গুণ বেশি প্রোবায়টিক্স বহন করে।ও সেটাও সর্বোচ্চ মানের ল্যাকটোব্যাসিলা কিফিরি।
মানুষ মাত্রই বহুমুখী ও অফুরন্ত শক্তির আধার। গাটের সুস্থতা রক্ষিত হলেই পেটের খাদ্য প্রয়োজনীয় শক্তির যোগান দিতে সক্ষম হয়। ফলে মানুষটাও ফিরে পান জীবনের পূর্ণতা উপভোগ করার সামর্থ্য। মাত্র কয়েকটা দিনেই বুঝে যাবেন, শারীরিক মানসিক অনেকগুলো সমস্যা থেকেই বেরিয়ে গেছেন আপনি, যেগুলো দূর করতে ওষুধের ক্রমাগত ব্যর্থতা ভাবিয়ে তোলে মানুষকে।
কেফির খেতে অপূর্ব। গ্লাসে তিনের একাংশ কেফির নিন, বাকিটা পানি। সাথে লেবু, একটু মিষ্টি (হোক জিরো ক্যাল), একটু গোলমরিচের গুঁড়ো আর একটু লবণ। এবার নেড়ে দিলেই কেফির ড্রিংকস। রাতে ও সকালে কেফির ড্রিংকস শরীরের ইকো সিস্টেম সজাগ করে, ফলে সহসাই শুভ শক্তির প্রকাশ ঘটে চলায় বলায় আচরণে। কয়েকটা দিন কেফির খেয়ে আপনিও বলবেন, সামথিং এমেইজিং, মোর দ্যান এক্সেলেন্ট..!
খুব সহজেই নিজের ঘরে কেফির বানিয়ে নিতে পারেন আপনি। চাইলে আমাদের কাছেই পাবেন কেফির তৈরির বীজ। ভালোকরে জ্বাল করা এক গ্লাস গরুর দুধ নিবেন, ওটা হালকা গরম থাকতেই ওতে মিশিয়ে দিবেন দুই টেবিল এরচামচ কেফির বীজ। প্রতি কেজি দুধে ৫০-৮০ গ্রাম বীজ যথেষ্ট। এবার ওটা ভালো করে নেড়ে দিন, গ্লাসটি ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রেখে দিন ১০-১২ ঘন্টা। এরপর গ্লাসটি ফ্রিজেও রাখুন আরো ঘন্টা দুই। এরপর যেটা দেখবেন, সেটাই আপনার নিজের তৈরি বিশ্বমানের কেফির। ওটা এখনই খাবার উপযোগী রেডি। তবে কেফির দিয়ে আর কেফির তৈরি হবে না, তবে টক দই হবে।
কেফির তৈরিতে আমরা খাঁটি গরুর র’দুধ ব্যবহার করছি, কালচার করতে ব্যবহার করছি আমেরিকার তৈরী কেফির স্টার্টার কালচার। প্রতিদিন কেফির তৈরি হচ্ছে, ফ্রেশ কেফির পৌঁছে দেয়া হচ্ছে হোম ডেলিভারী করে। কেফির তিন দিন ফ্রিজের বাইরে ভালো থাকে। নরমাল ফ্রিজে রেখে দিলে কেফির ভালো থাকে এক মাস।